জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত বাড়ি

পুনর্বাসন

শিরিন আক্তার: একটি ঘরের জন্য লড়াই

৳20,000 পেয়েছি
দরকার: ৳150,000 • 1 জন দিয়েছেন।
13%

খোদ্দ কেঁওচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একখণ্ড জমিতে মলিন এক কুঁড়েঘর। এটাই শিরিন আক্তারের সংসার। স্বামী জয়নাব আলী ছিলেন তাঁর জীবনের ছায়া, কিন্তু বিধির লিখন অন্যরকম। চার মেয়ের জননী শিরিনের জীবনে নেমে এসেছে কঠিন বাস্তবতা। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বটে, কিন্তু তাদের সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এক বিবাহিত মেয়ের স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ায় মেয়েটিও ফিরে এসেছে মায়ের কাছে। এখন তিন মেয়ে আর বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাঁর।

সংসারের ঘানি টানতে অন্যের জমিতে দিনভর কাজ করেন শিরিন। যা রোজগার হয়, তা দিয়ে কোনোমতে পেট চলে। কিন্তু মাথার ওপর একটুখানি ছাদ, একটুখানি আশ্রয় – সেই স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। জীর্ণ কুঁড়েঘরের বেড়াগুলো ভেঙে পড়েছে, বৃষ্টির জল আর কনকনে বাতাস অবাধে প্রবেশ করে। বাড়ির পাশে সিনার কাগজ দিয়ে কোনোমতে একটি ঠাঁই তৈরি করেছেন, যা বসবাসের অযোগ্য।

একসময় কিছু সহৃদয় সৌদি প্রবাসী ছেলের নজরে পড়েছিল শিরিনের এই অসহায় অবস্থা। তারা এগিয়ে এসেছিল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। দুটি সেমিপাকা ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল তারা। একজন ইট দেবেন, একজন সিমেন্ট-বালি, অন্যজন মিস্ত্রির খরচ – এমনটাই কথা ছিল। একজন ভালো মানুষ তিন হাজার ইট দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু এরপর সবাই যেন আর্থিক কষ্টের অজুহাতে পিছিয়ে গেল। তাদের দেওয়া আশ্বাস যেন আজ বাতাসে মিলিয়ে যায়।

এখন শিরিনের চোখে শুধুই অন্ধকার। মাথার ওপর স্থায়ী একটা ছাদ তাঁর কাছে এখন আকাশকুসুম কল্পনা। সামান্য বৃষ্টিতেই তাঁদের রাত কাটে নির্ঘুম, ভয়ে আর ঠান্ডায় জড়সড় হয়ে। কোথায় যাবেন, কী করবেন – এই ভাবনাগুলো তাঁকে কুরে কুরে খায়।

এই কঠিন পরিস্থিতিতে যদি কোনো দয়ালু হৃদয় সামান্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে শিরিন আক্তারের পরিবার একটি নতুন জীবন ফিরে পাবে। তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন – একটি ছোট্ট, নিরাপদ আশ্রয় – সত্যি হতে পারে। হয়তো কারো সামান্য অনুদান এনে দিতে পারে এক অসহায় মায়ের মুখে হাসি, তাঁর সন্তানদের জন্য একটুখানি নিরাপত্তা।

শিরিন আক্তারের স্বপ্ন পূরণে আপনিও অংশীদার হতে পারেন। আপনার দেওয়া যেকোনো পরিমাণ অর্থ অথবা নির্মাণসামগ্রী এই পরিবারটির জন্য নতুন ভোরের আলো নিয়ে আসতে পারে। তাদের ঠিকানা – খোদ্দ কেঁওচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াই।

 

অনলাইনে অনুদান দিন

বিকাশ : 01824529938

খোর্দ্দ কেঁওচিয়া গ্রামের ধূলিমাখা পথের ধারে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে, একটি ভঙ্গুর কুঁড়েঘরে বাস করেন শিরিন আক্তার। এই কুঁড়েঘর, যা টিনের কাগজ আর ভাঙা স্বপ্ন দিয়ে তৈরি, শিরিনের পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র আশ্রয়। তার স্বামী জয়নাব আলী আর তিন কন্যা নিয়ে শিরিনের জীবন যেন এক অবিরাম সংগ্রামের গল্প। চার মেয়ের মা শিরিনের জীবনে দুঃখের ছায়া কখনো দূর হয়নি। তার দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে নতুন জীবন শুরু করলেও, এক মেয়ের স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সে আবার বাবার বাড়িতে ফিরে এসেছে। এখন শিরিনের কাঁধে তিন মেয়ে, স্বামী আর নিজের ভার।

শিরিনের দিন কাটে অন্যের ক্ষেতে কাজ করে। তার হাতে ধরা কাস্তের প্রতিটি আঘাতে মিশে আছে পরিবারের জন্য অন্ন জোগানোর প্রাণান্ত চেষ্টা। কিন্তু এই কঠোর পরিশ্রমেও তার পরিবারের মাথার উপর একটি মজবুত ছাদ দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বাড়ি বলতে যা আছে, তা কেবল নামেই বাড়ি। বর্ষার দিনে ছাদ ফুটো করে পানি ঝরে, শীতের রাতে হাওয়া গলিয়ে ঢোকে। শিরিনের মেয়েরা যখন রাতে একে অপরের কাছে জড়িয়ে ঘুমায়, শিরিনের বুকটা হাহাকার করে ওঠে। তার মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়, একটি ঘর, যেখানে তারা হাসতে পারবে, স্বপ্ন দেখতে পারবে—এই স্বপ্নই শিরিনের জীবনের একমাত্র আলো।

একদিন আশার আলো জ্বলে উঠেছিল। গ্রামের কিছু সৌদি প্রবাসী যুবক শিরিনের দুঃখ দেখে এগিয়ে এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দুটি ঘর বিশিষ্ট একটি সেমি-পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবে। কেউ বলেছিল ইট দেবে, কেউ সিমেন্ট আর বালি, কেউ মিস্ত্রির খরচ বহন করবে। শিরিনের মনে তখন আনন্দের বন্যা। সে ভেবেছিল, এবার হয়তো তার মেয়েরা একটি সত্যিকারের ঘরে থাকবে। কিন্তু সেই আশা অধরাই রয়ে গেল। একজনের দেওয়া ইট ছাড়া আর কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলে, “টাকার সমস্যা।” শিরিনের হৃদয় ভেঙে গেল, কিন্তু সে হাল ছাড়েনি।

এখন শিরিন একা লড়াই করছে। সে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবছে, যদিও ঋণের বোঝা তাকে আরও গভীর সংকটে ফেলতে পারে। তবুও সে থামেনি। তার চোখে এখনো সেই স্বপ্ন—একটি ঘর, যেখানে তার মেয়েরা নির্ভয়ে হাসবে, যেখানে বৃষ্টির রাতে তারা ভিজবে না, শীতের হাওয়ায় কাঁপবে না। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণের পথে তার সামনে বাধা অনেক।

শিরিন আক্তারের বাড়ি খোর্দ্দ কেঁওচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। তার জন্য আপনার একটি ছোট্ট সাহায্য হতে পারে তার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। ইট, সিমেন্ট, বালি, টিন, কাঠ, বাঁশ, মিস্ত্রির খরচ—যেকোনো কিছু। অথবা একটু আর্থিক সাহায্য, যা তার ঋণের বোঝা কমাতে সহায়ক হবে। আপনার দেওয়া প্রতিটি টাকা, প্রতিটি উপকরণ শিরিনের স্বপ্নের ঘরের একটি ইট হয়ে যাবে।

কল্পনা করুন, শিরিন যখন তার মেয়েদের নিয়ে নতুন ঘরে প্রথম পা রাখবে, তার চোখে যে আনন্দের অশ্রু ঝরবে, তা হবে আপনার দয়ার প্রতিফলন। খোর্দ্দ কেঁওচিয়ার এই মা আপনার সাহায্যের অপেক্ষায়। আসুন, আমরা একসঙ্গে শিরিন আক্তারের স্বপ্নের ঘর গড়ে তুলি। তার হাসি, তার মেয়েদের ভবিষ্যৎ—এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে?

এই মুহূর্তে কোন আপডেট নেই। 

  • সরাসরি অনুদান উপকারভোগীর কাছে দিতে হবে। 

কো-অর্ডিনেটর

রবিউল ইসলাম রবি
রবিউল ইসলাম রবি

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

অন্যান্য তহবিল সমূহ

প্রতিনিয়ত সেবা প্রদান ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা অভিজ্ঞতা ও নানা চিত্র ধারণ করছি। তার কিছু প্রতিচ্ছবি এক নজরে দেখুন।

পুনর্বাসন

শিরিন আক্তার: একটি ঘরের জন্য লড়াই

৳20,000 পেয়েছি
দরকার: ৳150,000 • 1 জন দিয়েছেন।
13%

খোর্দ্দ কেঁওচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে টিনের কাগজের কুঁড়েঘরে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে কষ্টে বাস করেন শিরিন আক্তার। অন্যের ক্ষেতে কাজ করে সংসার চালানো এই মা তার তিন মেয়ের জন্য একটি মজবুত ঘরের স্বপ্ন দেখেন। প্রবাসীদের প্রতিশ্রুতি ভেঙে যাওয়ায় তিনি এখন অসহায়। ইট, সিমেন্ট, টিন বা আর্থিক সাহায্য আপনার হাত বাড়ালে শিরিনের স্বপ্ন সত্যি হতে পারে।

স্বাস্থ্য

অসহায় ইয়াসমিনের পাশে দাঁড়ান, ফিরিয়ে দিন তার সন্তানদের হাসি

৳50,000 পেয়েছি
দরকার: ৳100,000 • 88 জন দিয়েছেন।
50%

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছদাহা গ্রামের মেঠো পথের পাশে ছোট্ট কুঁড়েঘরটিতে আজ বিষাদের ছায়া। ইয়াসমিন বেগম, চার সন্তানের মমতাময়ী জননী, রোগের কঠিন কষাঘাতে জর্জরিত। রমজানের শুরু থেকেই তার শরীর ভেঙে পড়তে শুরু করে।

স্বাস্থ্য

রেমিটেন্স যোদ্ধা হামিদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

৳0 পেয়েছি
দরকার: ৳0 • 0 জন দিয়েছেন।
0%

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার অন্তর্গত ছদাহা কাজীরখিলের সন্তান মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ। যিনি দীর্ঘ আট বছর প্রবাসে ছিলেন, আজ মরণব্যাধি "ক্রনিক কিডনি ডিজিজ"-এ আক্রান্ত।