
বর্তমানে নির্মাণাধীন বাড়ি
শিরিন আক্তার: একটি ঘরের জন্য লড়াই
শিরিনের নীড় বাঁধার আকুতি
সাতকানিয়া ছদাহার শিরিন আকতার, স্বামী জয়নাব আলীকে নিয়ে ৪ মেয়ের সংসার। দু’জনের বিয়ে হলেও, এক মেয়ের স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ায় সেও ফিরে এসেছে বাবার বাড়িতে। পাঁচজনের সংসার চলে শিরিনের অন্যের ক্ষেতে কাজ করে আনা সামান্য রোজগারে। স্বামী অসুস্থ হওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও আয় রোজগার তেমন করতে পারে না। তাদের বর্তমান আশ্রয়, বাড়ির পাশে সিনার কাগজের তৈরি একটি জীর্ণ কুঁড়েঘর।
একসময়, এলাকার কিছু সহৃদয় সৌদি প্রবাসী দুটি রুমের ঘর তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। একজন তিন হাজার ইট দিলেও, বাকিরা আর্থিক সংকটের অজুহাতে পিছিয়ে গেছেন। সেই সামান্য ইট দিয়ে কাজ শুরু হলেও, অর্থাভাবে তা আজ থমকে আছে।
জীর্ণ কুঁড়েঘরে পাঁচটি প্রাণীর দিন কাটে চরম কষ্টে। মাথার ওপর একটুখানি স্থায়ী ছাদ, এই স্বপ্ন এখন শিরিনের চোখে জল আনে। সামান্য সাহায্যই পারে তার এই স্বপ্নকে সত্যি করতে, এনে দিতে পারে একটি অসহায় পরিবারের মুখে হাসি। তাদের প্রয়োজন শুধু একটুখানি মানবিক সহায়তা।
বর্তমানে প্রয়োজনীয় সামগ্রী:
কাঠ ও বাঁশ:
টিন- ৩ বান - ১০৫০০ টাকা
হোয়াইস- ৫ পিচ - ১৫০০ টাকা
পেইর ৪ পিচ - দাম জানা যায়নি
কেচি গাছ ২৪ পিচ - ৫৬০০ টাকা
বাডাং- ৩৮ পিচ - ৩৮০০ টাকা
পেরেক:
টুক পেরেক - ৩ কেজি - ৬০০ টাকা
৪ ইঞ্চি পেরেক - ১ কেজি - ২০০ টাকা
২ ইঞ্চি পেরেক - আধা কেজি - দাম জানা যায়নি
আড়াই ইঞ্চি পেরেক - আধা কেজি - ২০০ টাকা
ইট:
৩০০০ ইট - ৩৩০০০ টাকা
সিমেন্ট - ৩০ বস্তা
উপরোক্ত সামগ্রী বা আর্থিক সহযোগিতা হলে তার বাড়ির কাজটি শেষ করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
সহযোগিতা পাঠাতে

বিকাশ (প্রতিনিধি) : 01824529938
শিরিন আকতার সাতকানিয়া ছদাহার একজন সংগ্রামী নারী। অসুস্থ স্বামী জয়নাল আলী ও চার মেয়ে নিয়ে তার পরিবার। দুই মেয়ের বিয়ে হলেও এক মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর সংসার ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অন্যের ক্ষেতে কাজ করে কোনোমতে চলে পাঁচজনের জীবন। তাঁদের এক রুমের ঘরটি বছর চারেক থেকে ব্যবহার অনুপোযোগী। তারা আশ্রয় নিয়েছে সিনার কাগজের তৈরি একটি জীর্ণ কুঁড়েঘরে। পার্শ্ববর্তী সৌদি প্রবাসীর সহযোগিতায় একটি দুই কক্ষের ঘরের কাজ শুরু হলেও অর্থাভাবে তা বন্ধ হয়ে ছিলো। পরবর্তীতে ছদাহার কিছু দানশীল ও মানবিক মানুষের সহযোগিতায় তাঁর এই ঘরটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
পূর্বে প্রাপ্ত সহযোগিতা নিয়ে বাড়ির কাজটি চলমান। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে কাজটি শেষ করা যাচ্ছে না।
- সরাসরি অনুদান উপকারভোগীর কাছে দিতে হবে।
কো-অর্ডিনেটর

হাফেজ মাসুদ করিম চৌধুরী
মানবিক কর্মী ও রক্তবন্ধু