
হাসিনা বেগমকে সহায়তা দেওয়ার পর
দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম
‘সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই’ একটি দরিদ্র পরিবারের নিত্যদিনের গল্প এটি। এমন পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ডিজিটাল ফুড ব্যাংক ‘প্রজেক্ট স্বাবলম্বী’ নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে এবং আয় পাঁচ হাজার টাকার কম, তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে।
‘প্রজেক্ট স্বাবলম্বী’ এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছ থেকে যাকাতের অর্থ সংগ্রহ ও বিভিন্ন অনুদান সংগ্রহ করার পর বাছাই করা দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিতরণ এবং আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় হ্যান্ডিক্রাফ্ট প্রশিক্ষণ, রিকশা, সেলাই মেশিন, গরু, ছাগল এবং অন্যান্য স্থিতিশীল সম্পদ সরবরাহ করা হয়, যা উপার্জনের উৎস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করে। এই প্রকল্পের প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে।
আমাদের গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যার সাথে তেমন অভ্যস্ত না। সেক্ষেত্রে আমাদের কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না। হটাৎ দুপুরের সময় আমাদের কাছে খবর আসে, পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনো খাবার প্রয়োজন। তারপর মানুষের দুঃখ, দূর্দশা আর পরিস্থিতি অবলোকন করে সর্বপ্রথম আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের নিজস্ব অর্থায়নে আমরা বন্যার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসি। পরবর্তীতে কিছু মানবিক মানুষের স্বেচ্ছায় সহযোগিতায় বন্যার্ত মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি চালু রাখি। এক্ষেত্রে ফুড ব্যাংক টিমের স্বেচ্ছাসেবীরা অক্লান্ত অমানুষিক পরিশ্রমে দিনরাত এক করে মানুষের জন্য কাজ করে যায়। পেছনে সাহস ও সহযোগিতায় একদল মানবিক মানুষ। দূর্যোগলালীন সময়ে যারা ছদাহার বন্যার্ত মানুষের পাশে ছিলেন আপনাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
--আশিবুল আলম তানভীর চৌধুরীসমন্বয়ক, তেইশের বন্যা কর্মসূচি
ফাউন্ডার কোঅর্ডিনেটর, ফুড ব্যাংক