
রোগী নারগিস বেগম
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে পটিয়ার এক মায়ের সংগ্রাম: এগিয়ে আসুন তাঁর সাহায্যে!
নারগিস বেগম (৪৩) নামের একজন মা গত ৯ মাস ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করছেন। প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, এর জন্য ১৫-২০ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন অনলাইন, অফলাইন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় পরিবারটি প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছিল। সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামে কেমোথেরাপি, প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং ব্রেস্ট সার্জারিও সম্পন্ন করা হয়। পরিবার আশা করেছিল মা সুস্থ হয়ে উঠছেন, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে আশা পূরণ হয়নি।
সাম্প্রতিক হিস্টোপ্যাথলজি রিপোর্টে দেখা গেছে, মায়ের সার্জারি করা অংশে এখনও ক্যান্সার কোষ বিদ্যমান। এর অর্থ হলো, নারগিস বেগমকে আবারও কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ৫ সাইকেল কেমোথেরাপি দেওয়ার পর জানা যায়, তার পিত্তথলিতে পাথর, লিভারে চর্বি এবং জরায়ুতে একটি ছোট ফাইব্রয়েড টিউমারও রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরপরই দ্রুত পিত্তথলির পাথর অপারেশন করাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারটির হাতে আর কোনো অর্থ নেই। মায়ের এই জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য আনুমানিক ৮-১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। পরিবারটি একা এই পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না, তাই আবারও সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে এসেছে।
সহযোগিতা পাঠাতে

বিকাশ (পার্সোনাল-ছেলে) : 01830937626

নগদ (পার্সোনাল-ছেলে) : 01830937626

সিটি ব্যাংক-MD IMRAN HOSSAIN NAYAN (ও. আর. নিজাম রোড শাখা) : 230 427 881 0001
নারগিস বেগমের পরিবার মূলত নির্ভর করে বড় ছেলে ইমরানের উপর। ইমরান ডিগ্রির ছাত্র, পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এটেন্ডেন্ট হিসেবে চাকরি করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছে। ছোট ভাইটি ইন্টারমিডিয়েটের পর পড়াশোনা ছেড়ে দেয়—একটি দুর্ঘটনায় তার পায়ে রড বসানো হয়েছে এবং এখন কর্মক্ষম নয়। তাদের বাবা একজন অসুস্থ, বয়স্ক কৃষক, যিনি টুকটাক চাষাবাদ করতেন। পরিবারটির সামর্থ্য নেই এই বিশাল চিকিৎসা ব্যয় বহনের।
ইমরানের চাকরি থাকলেও বর্তমান সময়ে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারি প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রভাব তার চাকরিতেও পড়েছে। এমন সময় একদিকে মা’র চিকিৎসা, অন্যদিকে পরিবারের অর্থনৈতিক চাপ ইমরানকে ভেঙে ফেলেছে।
এই পরিবার এখন সমাজের কাছে, আমাদের সবার কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে—কারণ একজন মা’র হাসি, একজন স্ত্রীর জীবন, এবং সন্তানদের আশার আলো যেন নিভে না যায়।
বর্তমানে পার্কভিউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
সহায় একটি দান-ভিত্তিক পিয়ার-টু-পিয়ার ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যা কিছু মূল নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়:
- দান-ভিত্তিক সহায়তা: সহায় শুধুমাত্র দান বা অনুদানের জন্য তহবিল সংগ্রহের সুযোগ তৈরি করে বা ক্যাম্পেইন প্রোফাইল তৈরি করে দেয়। সহায় সরাসরি কোনো অনুদান বা সহযোগিতা গ্রহণ করে না।
কো-অর্ডিনেটর

জান্নাতুল ফেরদৌস ইজা
ছেলের বউ ও শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ